টেলিভিশনের সুবাদে অভিনেতা আকাশ ঘোষ বেশ জনপ্রিয়, সেই নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে একটানা বিভিন্ন চরিত্রে বিভিন্ন, বিভিন্ন ধারাবাহিকে অভিনয় করে আসছেন বর্তমান বাংলা টেলিভিশনের অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ আকাশ। এত বছরের অভিনয়ে ক্যারিয়ারে এই প্রথম প্রযোজক স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর চিত্রনাট্যে কাজ করার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত আকাশ। অভিনেতার কথায়,- “প্রথম যখন আমার কাছে ব্লুজ প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে ফোন আসে, আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। সব থেকে ভালো লেগেছিল স্নেহাশিস দা নিজে আমাকে চরিত্রটা সম্পর্কে ফোনে বুঝিয়েছিলেন। এবং প্রথমবার উনি জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালের মতন এত জনপ্রিয় ধারাবাহিকে আমাকে এইরকম একটি চরিত্রে ভেবেছেন, এটাই আমার কাছে বিরাট প্রাপ্তি বলে আমি মনে করি।”
পাশাপাশি চরিত্রটা সম্পর্কে অভিনেতা আকাশকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,- “নেগেটিভ চরিত্র এর আগে আমি করেছি। এটাও একটি নেগেটিভ চরিত্র হলেও, একটা অদ্ভুত রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমার দৃশ্যের টেলিকাস্ট পর্দায় শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই কিছুটা হলেও দর্শকরা আন্দাজ করতে পেরেছেন, চরিত্রটার মধ্যে এমন কিছু লুকিয়ে রয়েছে, যা এখনো অস্পষ্ট। এই মুহূর্তে জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকটি টিআরপি এর তালিকায় বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ ধারাবাহিক হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। আর সেই রকম একটি গল্পে আমি অভিনয় করতে পারছি, এটা সত্যি অত্যন্ত আনন্দের। এই ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তা এতটাই গভীর, ফলে আমার চরিত্রটা অনায়াসেই দর্শকদের নজর কেড়েছে।”
পাশাপাশি অভিনয় জগতে প্রথম আগমন কিভাবে? প্রশ্ন করায় আকাশ জানান,- “আমার একজন চরিত্রাভিনেতা হিসেবে প্রথম পথ চলা শুরু হয় অন্যতম পরিচিত প্রযোজক সুশান্ত দাসের হাত ধরে। সাল ২০০৮, স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মা। সেই সময় ধারাবাহিকটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সুশান্ত দাস। সেখানেই সুশান্ত দা আমাকে বাবলু চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ করে দেন। তবে থেকেই শুরু হয় আমার পথ চলা। দেখতে দেখতে কেটে গেল বেশ কয়েকটি বছর। আজও সেই যুদ্ধ চলছে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই যুদ্ধ জারি থাকবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।”
আমাদের তরফ থেকে অভিনেতা আকাশের জন্য রইল অনেক শুভকামনা। তার আগামী দিনের পথ চলা আরও মসৃণ এবং সফল হোক।