শ্যামনগরের তিন বাসিন্দা, যারা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী এবং শালী, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ভাইরাল হয়েছে। বাংলা ছাপিয়ে বিশ্বের কোনায় কোনায় এখন তারা বহু চর্চিত। ভাইরাল হওয়া পুরুষটির নাম বাবাই ভদ্র এবং তার আদরিনী শালী হল পূজা রায়। এই শালী প্রতিদিন তার জামাইবাবুর শসা খেত বলেই জানা গিয়েছে। আর সেই শসা খাওয়ার ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করতেন পূজার দিদি অর্থাৎ বাবাই ভদ্রের স্ত্রী।
এবং সেই ভিডিও তারা নিয়মিত ওয়েবসাইটে আপলোড করে মুনাফা অর্জন করতেন। এটাই ছিল নাকি তাদের কর্মসংস্থান, এমনটাই দাবি করছেন অনেকে। শসা তরমুজ নিয়ে খেলা করার সেই ভিডিও আচমকাই ভাইরাল হয়ে যায় ফেসবুকে। নিমেষের মধ্যে শেয়ার হয় সেই নির্দিষ্ট ভিডিওর লিংক। এরপর থেকেই ফেসবুকে শুরু হয় নতুন ট্রেন। শ্যামনগরের শালি জামাইবাবুর ভিডিওর লিংক চাই চাই। এই ট্রেন্ডি গা ভাসিয়েছেন ৮ থেকে ৮০, বিভিন্ন বয়সের মানুষ। আসলে উত্তেজনা মূলক ভিডিও দেখতে বরাবরই পছন্দ করেন নেটিজেনরা। বাংলার বুকে খাস শ্যামনগরের এই শালি জামাই বাবুর পর্ন ভিডিও দেখার জন্য রীতিমত হামলে পড়ছেন সকলে। তবে এরই মাঝে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদও করেছেন অনেকে।
কেউ কেউ আবার মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন,-“আমাদের শ্যামনগর আজ ভাইরাল। আর তার নেপথ্যের কারণ এতটাই নিম্ন রুচি সম্পন্ন, যা নিয়ে মোটেও গর্ব করার মতো নয়। সংস্কৃতির শহর শ্যামনগর। এটা ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, সুব্রত ভট্টাচার্যের শহর। এটা আমার শহর, ভালোবাসার ছোট্ট শহর। গঙ্গা পাড়ে মূলাজোড় কালিবাড়ি, মা স্বয়ং বিরাজমান। কিছু নোংরা অশিক্ষিত লোকজনের জন্য জায়গার নাম খারাপ হচ্ছে।এসব নোংরামি বন্ধ করুন!”
তবে এখন প্রশ্ন হল এর শেষ কোথায়? কবে গিয়ে থামবে এই নিয়ে চর্চা? কবে স্তব্ধ হবে এই ট্রেন্ড? স্বামী স্ত্রী এবং বহু চর্চিত শালি পূজা রয়ের ভবিষ্যৎ কি? এখন সেদিকেই মুখিয়ে রয়েছেন সবাই।